Wednesday, August 20, 2014

গর্ভধারণ ঠেকাতে করতে হবে ব্রেস্ট ফিডিং


অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ প্রতিরোধে ব্রেস্ট ফিডিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই বুকের দুধ শুধু নবজাতকেরই নয় মায়েরও অনেক সুফল বয়ে আনে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নবজাতককে বুকের দুধ পান করালে অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ প্রতিরোধও সম্ভব।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সন্তানকে বুকের দুধ পান করালে মায়ের ডিম্ব অকার্যকর হয়ে প্রাকৃতিক উপায়েই জন্ম নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। যদি একজন মা নিয়মিত তার বাচ্চাকে বুকের দুধ পান করান তবে তার শরীরে প্রোজেস্ট্রনসহ বেশ কিছু হরমোন নিঃসরনের পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে তিনি সাময়িকভাবে গর্ভধারণের হাত থেকে রেহাই পান।
সম্প্রতি, ব্রিটেনের পরিবার পরিকল্পনা অ্যসোসিয়েশন জানিয়েছে, এই পদ্ধতি ৯৮ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকরী। তবে এক্ষেত্রে মাকে শিশুর ৬ মাস বয়স পর্যন্ত রাতসহ কয়েক ঘণ্টা পরপর বুকের দুধ দিতে হবে।
এছাড়া মা-শিশুর মধ্যে মানসিক সম্পর্ক স্থাপনে মাতৃদুগ্ধের ভূমিকা অনস্বীকার্য। সঠিক নিয়ম ও পর্যাপ্ত দুগ্ধ দান মাকে স্তন ক্যান্সারের হাত থেকেও রক্ষা করে। শিশুকে দুধ পান করালে গর্ভবতী অবস্থায় জমে থাকা অতিরিক্ত মেদ কমে যায় এবং সুন্দর দেহ সৌষ্ঠব গড়ে উঠে।
দুগ্ধপান করালে অক্সিটোসিন হরমোন নিঃসৃত হয়, যা জনন অঙ্গগুলোকে প্রাক-গর্ভবতী অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে। মাতৃদুগ্ধে প্রচুর পরিমাণে জীবাণু বিরোধী পদার্থ যেমন- মেক্রোফেজ, লিম্ফোসাইট, ইমিউনোগ্লোবিন, লাইসোজাইমস, লেক্টোফেরিন ইত্যাদি থাকে; যা ডায়রিয়া, শ্বসনতন্ত্রের রোগ ও অন্ত্রের রোগ প্রতিরোধ করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, পশ্চিমা মায়েরা বাচ্চাকে নিবিড়ভাবে বুকের দুধ দেন না। ফলে যদি তারা জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ না করেন তবে অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ করতে পারে। কিন্তু বাচ্চা হওয়ার পরপরই জন্ম নিয়ন্ত্রণের কৃত্রিম পদ্ধতি গ্রহণ করা সবসময় ঠিক নয়। তাই ব্রেস্ট ফিডিং দরকার। এছাড়া ব্রেস্ট ফিডিং পরবর্তীতে পরিকল্পনামাফিক গর্ভধারণেও সহায়তা করে।

0 comments:

Post a Comment